যিনি রাজনীতি করেন না, কিছুটা তিনিও বুঝেন

যিনি রাজনীতি করেন না, কিছুটা তিনিও বুঝেন
প্রকাশ : ২১ জুন ২০১৬, ১৩:১৮:৫৫
যিনি রাজনীতি করেন না, কিছুটা তিনিও বুঝেন
ড. বদরুল হাসান কচি
প্রিন্ট অ-অ+
ছুরিকাঘাত ও গুলিতে  সম্প্রতি এক ব্রিটিশ এমপি মারা গেছেন; ঠিক আমাদের দেশে কথিত জঙ্গি হামলাগুলোর মতোই ঘটনা বলা যেতে পারে। অপরদিকে ঠিক তার দু’দিন আগে আমেরিকায় সমকামীদের নাইট ক্লাবে এক জঙ্গি হামলায় ৫০ জন নিহত হয়েছে। যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে ঠিক এই পরিস্থিতিতে আশা করি কারও বুঝতে কষ্ট হয় না যে, সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদের হুমকি কেবল বাংলাদেশেই নয় এটি মূলত বিশ্বব্যাপী সংকট।
 
তবে একটু তফাৎ আছে, দুর্বল বলে বৈশ্বিক চাপটি আমাদেরকে একটু বেশিই নিতে হয় এই যা। উদাহরণ টানলে বিষয়টি আশা করি সবার স্পষ্ট হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশে সমকামীদের অধিকার নিয়ে ‘রূপবান’ নামে একটি পত্রিকার সম্পাদক জুলহাস মান্নান খুন হয়েছে এবং পরবর্তীতে পশ্চিমা দেশগুলো উদ্বেগ জানাতে জানাতে শেষ পর্যন্ত কাহিনী গিয়ে ঠেকল মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নাগাদ। তিনিও উদ্বেগ জানিয়ে পত্র পাঠিয়েছেন। অথচ তিনি যতটা বাংলাদেশে একজন সমকামীকে নিয়ে উদ্বিগ্ন ঠিক ততোটা উদ্বিগ্ন তিনি নিজের দেশের সমকামীদের নিরাপত্তা নিয়ে দেখাতে পারেন না। ৫০ জন সমকামী একই হামলায় মৃত্যুর ঘটনা পরবর্তীতে বিবিসি সংবাদে নজর রেখেছিলাম ঠিক এই ঘটনায় পশ্চিমা দেশগুলো কতোটা উদ্বিগ্ন তা দেখার জন্য; কিন্তু না তারা আমেরিকার ঘটনায় উদ্বিগ্ন না, কেবল শোকাহত!   
 
বাংলাদেশের ঘটনাগুলো নিয়ে দেশের সকলেই উদ্বিগ্ন। উদ্বিগ্ন আমাদের বিরোধী দল বিএনপিও! বিরোধী দল দেশের স্বার্থে জনগণের কথা চিন্তা করে যখন উদ্বিগ্ন হয় তখন আমরা জনগণ সত্যি আনন্দিত হই। কিন্তু সেই উদ্বেগে যদি দলের স্বার্থটাই বড় হয়ে যায়, তাহলে জনগণের উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি পায়। 
 
যাক সে কথা, কয়েকদিন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই, তাই জঙ্গিবাদের উত্থান। তিনি বোধহয় ভুলে গেছেন দেশে সবচেয়ে বড় বড় জঙ্গি হামলার ঘটনাগুলো ২০০৪-০৫ সালেই ঘটেছে; তাঁর ভাষ্যমতে তখন গণতন্ত্র ছিল। অথচ তাঁর  দলই তখন ক্ষমতায় এবং সে সময়ে জঙ্গিবাদের আস্ফালন দেখেছে জনগণ। একই কথা তাঁর দলের মহাসচিবকেও একাধিকবার বলতে শুনেছি!
 
যিনি রাজনীতি করেন না, তিনিও কিছুটা রাজনীতি বুঝেন। তাই কোনটা রাজনৈতিক সংলাপ আর কোনটা সত্যি জনগণের কল্যাণে বক্তব্য তা কিছুটা জনগণও বুঝতে পারে। সুতরাং, আবোল তাবোল কিছু না বলে কোন পরামর্শ থাকলে সরকারকে সেটা দিন, প্রয়োজনে ঐক্য গড়ুন; যাতে জনগণের জীবন রক্ষা পায়। দেশের বর্তমান সংকটে কোন রাজনৈতিক খেলা নয় সকলের উচিত জঙ্গিবাদ নির্মূল একই আওয়াজ তোলা।
 
লেখক: আইনজীবী ও সম্পাদক- ল'ইয়ার্সক্লাববাংলাদেশ ডটকম
 
বিবার্তা/বদরুল/জিয়া
 
সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

৪৬, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ

কারওয়ান বাজার (২য় তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১১৯২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com