"এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়"
বাংলার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যতবারই আঘাত এসেছে ততবারই বাঙ্গালী তরুণরা প্রতিঘাতে ও প্রতিউত্তরে জবাব দিয়েছে। ৫২-তে মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ে ও ৭১-এ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জনের মাধ্যমে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল আমাদের তরুণ প্রজন্মই।
৯১,২০০৮ ও ২০১৪ সালে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং সমুন্নত রাখার সংগ্রামে বরাবরই এগিয়ে এসেছে অকুতোভয় তরুণ প্রজন্ম। বাঙ্গালীর জীবনে অত্যন্ত অর্থবহ সকল ক্রান্তিকালে তরুণ প্রজন্ম কখনোই নিশ্চুপ ছিল না। ২০০১-০৬ সালে বিএনপি-জামাতের জঙ্গিবাদে মদদ দান থেকে শুরু করে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদের প্রাক্কালে স্বাধীনতা বিরোধী সমন্বিত শক্তির পেট্রোল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেও দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছিল এই দেশপ্রেমিক তরুণ জনগোষ্ঠীই।
শান্তির ধর্ম ইসলামকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে আজ তরুণ প্রজন্মের ক্ষুদ্র একটি অংশকে ব্যবহারের মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী রক্তের হোলি খেলায় মেতেছে। তাদেরকে ব্রেনওয়াশ করে সেই গোষ্ঠী বাংলাদেশকে পেছনে ঠেলে দিতে চায়। লক্ষণীয়ভাবে সেই ব্রেনওয়াশের বিরুদ্ধেও আজ আমাদের তরুণ প্রজন্ম। কারণ, তরুণ প্রজন্ম বিশ্বাস করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতেই হবে।
তাই, জননেত্রী শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রাকে মসৃণ ও প্রাণবন্ত রাখতে, আসুন আগামীকাল দলে দলে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ হতে উৎসরিত অহংকারের প্রতীক "জাতীয় পতাকা" হাতে বিকাল ৩ টায় শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই।
সারাবিশ্বকে জানিয়ে দেই, "বাংলাদেশ জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে, বাংলার তরুণ সমাজ জঙ্গীবাদকে প্রতিহত করে এবং করবে। জাতীয় নিরাপত্তায় তারুণ্য এগিয়ে এসেছে; সংকট মোকাবেলায় জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবারও তরুণ সমাজ ঐক্যবদ্ধ "।
"আমি বাঙ্গালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান। বাঙ্গালিরা একবার মরতে জানে। দুইবার মরে না"-বঙ্গবন্ধুর শাশ্বত বাণীই হোক আমাদের প্রেরণা।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
লেখক: জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
বিবার্তা/ইফতি